Thursday, June 9, 2016

উপকারী কিছু হাদীস


1.((الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ))
“প্রকৃত মুসলিম সে ব্যক্তি যার মুখের ভাষা এবং হাত থেকে অন্য মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে।“ (সহীহ বুখারী)
2. اتَّقِ اللَّه حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعْ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا وخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ
“আল্লাহকে ভয় কর যেখানেই থাকনা কেন। অন্যায় কাজ হয়ে গেলে পরক্ষণেই ভাল কাজ কর। তবে ভাল কাজ অন্যায়কে মুছে দিবে আর মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার কর।“ (তিরমিযী-সহীহ)
3. ((مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُؤْذِ جَارَهُ))
“যে আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।“ (বুখারী)
4. (( مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ ))
“যে আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।“ (বুখারী)
5. مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ
“যে আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন ভাল কথা বলে নতুবা চুপ থাকে।“ (বুখারী)
6. مَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللَّهُ فِي حَاجَتِهِ
“যে তার কোন ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করবেন।“ (বুখারী)
7. ((مَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ))
“যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখবেন।“ (বুখারী)
8. ((عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَالْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ))
“সব সময় সত্যকে আঁকড়ে ধরে থাক। কারণ সত্য কথা ভাল কাজের পথ দেখায়। আর ভাল কাজ জান্নাতের পথ দেখায়।“ (মুসলিম).
9) إِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَالْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ
“মিথ্যা থেকে দূরে থাক। কারণ মিথ্যা অন্যায় কাজের পথ দেখায় আর অন্যায় কাজ জাহান্নামের পথ দেখায়।“ (মুসলিম)
10) الدَّالُّ عَلَى الْخَيْرِ كَفَاعِلِهِ
“যে ব্যক্তি ভাল কাজের রাস্তা দেখায় সে ঐ ব্যক্তির মতই সাওয়াব পায় যে উক্ত ভাল কাজ সম্পাদন করে।” (তিরমিযী-সহীহ)
11) اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ
“মজলুমের বদ দুয়াকে ভয় কর। কারণ, তার বদ দুয়া আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই।“ (বুখারী)
12) لَيْسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ إِنَّمَا الشَّدِيدُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ
“কুস্তি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত বীরত্বের পরিচয় পাওয়া যায় না। বরং প্রকৃত বীর তো সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।“ (বুখারী)
13) لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ
“এক মুসলমানের জন্য অপর মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাখা বৈধ নয়।“ (বুখারী)
14) مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ
“দান করলে সম্পদ কমে না।“ (মুসলিম)
15) ((مَا زَادَ اللَّهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا))
“ক্ষমা করলে আল্লাহ বান্দার সম্মান বাড়িয়ে দেন।“ (মুসলিম)
16) ((مَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِلَّهِ إِلَّا رَفَعَهُ اللَّهُ))
“আল্লাহর উদ্দেশ্যে কেউ বিনয়ী হলে আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।“ (মুসলিম)
17) ((لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيُوَقِّرْ كَبِيرَنَا))
“যে ছোটদেরকে দয়া এবং বড়দেরকে শ্রদ্ধা করেনা সে আমাদের দলভুক্ত নয়।“ (তিরমিযী)
18) ((الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ))
“অন্তরের সচ্ছলতাই প্রকৃত সচ্ছলতা।“(বুখারী) (অর্থাৎ যে ব্যক্তি মনের দিক দিয়ে ধনী সেই আসল ধনী, শুধু অর্থ-সম্পদ বেশি থাকলেই ধনী হওয়া যায় না।)
19) “হে লোক সকল! তোমরা সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও আর মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সালাত আদায় কর তবে শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।“ (তিরমিযী)
20) لَا تَأْكُلُوا بِالشِّمَالِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِالشِّمَالِ
“বাম হাতে খেও না। কারণ শয়তান বাম হাতে খায়।“ (মুসলিম)
21) لَا تَسُبُّوا الْأَمْوَاتَ
“তোমরা মৃতদেরকে গালি দিও না।“ (বুখারী)
22) لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
“তোমাদের কেউ প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে অন্য ভাইয়ের জন্যও তাই পছন্দ করবে।” (বুখারী)
23) إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا
“নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম যার চরিত্র সবচেয়ে মাধুর্যপূর্ণ।“ (বুখারী)
24) .مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ
“তোমাদের কেউ অন্যায় দেখলে তার কর্তব্য হল, (সাধ্য থাকলে) হাতের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা, না পারলে মুখের ভাষা দ্বারা, তাও না পারলে অন্তর দ্বারা। আর এটাই হল দুর্বলতম ঈমানের পরিচয়।“ (মুসলিম)
25) خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ
“তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।“ (বুখারী)
26) ارْحَمُوا مَنْ فِي الْأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ
“তোমরা পৃথিবী অধিবাসীদের প্রতি দয়া কর যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।“ (তিরমিযী)
27) لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ نَمَّامٌ
“চুগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।“ (মুসলিম)
28) لْحَيَاءُ مِنْ الْإِيمَانِ
“লজ্জা ঈমানের অংশ।” (বুখারী)

“ডেল কার্নেগীর স্মরণীয় ও অনুপ্রেরণা মূলক 30 টি উক্তি

“ডেল কার্নেগীর স্মরণীয় ও  অনুপ্রেরণা মূলক 30 টি উক্তিঃ

আমাদের চারপাশে আমরা অনেক উক্তি মানুষের মুখে মুখে প্রায়ই শুনি । আর তা যদি হয় কোন বিখ্যাত ব্যক্তির তাহলে তো কথাই নেই। বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি জানতে কার না ভালো লাগে। বিখ্যাত ব্যক্তিরা এসব উক্তি তাদের নিজেদের ভাষায় দিলেও কালক্রমে তা আমাদের ভাষায় অনুদিত হয়ে এসেছে।
🎯নোটঃ -প্রয়োজনীয় মূর্হুতে  👓খুঁজে পেতে 👉পোষ্টটি শেয়ার করে এর লিংক সেইভ রাখুন.. না হলে পরে আবার খুঁজতে হবে ...
“ডেল ব্রাকেনরিডজ কার্নেগি (ইংরেজি: Dale Breckenridge Carnegie); (প্রকৃতপক্ষে কার্নাগি ছিলেন ১৯২২ সাল পর্যন্ত এবং সম্ভবতঃ এর কিছুটা পরে); (জন্ম: নভেম্বর ২৪, ১৮৮৮ – মৃত্যু: নভেম্বর ১, ১৯৫৫) ছিলেন একজন আমেরিকান লেখক, অধ্যাপক, ও একাধারে বিখ্যাত আত্বমোন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণমালা যেমন: সেফ-ইম্প্রুভমেন্ট, সেল্সম্যানশিপ, করপরেট ট্রেনিং, পাবলিক স্পিকিং, ও ইন্টার পার্সোনাল স্কিল-এর উদ্ভাবক। তিনি দরিদ্র মিজুরি কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপলস (১৯৩৬ সালে প্রকাশিত) বইয়ের লেখক, যা আজো প্রচণ্ড জনপ্রিয় বেস্ট সেলারের মর্যাদা পায়। তিনি ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হাউ টু স্টপ অওরিং অ্যান্ড স্টার্ট লিভিং , লিঙ্কন দ্য আননোন এবং আরো অনেক বইয়েরও লেখক।

তাঁর বইয়ের বিশেষত্ব এই যে নিজের প্রতিক্রিয়ার ভিন্নতার মধ্য দিয়ে অন্যের ব্যবহারের পরিবর্তন আনা সম্ভব।“ “

নোটঃ বালক বয়সে প্রত্যহ তিনি ভোর চারটায় উঠে গৃহপালিত গরুগুলো থেকে দুধ সংগ্রহ করতেন, তথাপি তিনি এর মধ্য দিয়ে ওয়ারেঞ্চেবার্গ-এর সেন্ট্রাল মিশৌরী স্টেট ইউনিভার্সিটিতে তাঁর পড়াশুনা চালিয়ে যান।

✪ যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়,কারন যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ ততো কম।

✪  মনে রাখবেন, আপনি কে বা আপনার কি আছে তার উপর আপনার সুখ নির্ভর করেনা, আপনার সুখ নির্ভর করে আপনি কেমন চিন্তা করেন তার উপর।

✪  অনুকরন নয়, অনুসরন নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন।

✪  অস্পষ্টতায় ভরা দুরের কিছুর চেয়ে কাছের স্পষ্ট কিছু দেখাই আমাদের দরকার।

✪  আত্মসম্মান, আত্মজ্ঞান, আত্ম নিয়ন্ত্রন- এই তিনটিই শুধু মানুষকে সর্বশক্তিমান করে তুলতে পারে। সঠিক জীবন যাপন নির্ভর করে এদের উপরে।

✪  আপনি ভাল মানুষ হলেই পুরো জগৎবাসী আপনার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবে এমনটা আশা করা ঠিক
নয়। আপনি নিরামিষভোজী হলে কি কোন ষাঁড় আপনাকে তাড়া করবে না?"

✪  আমরা যখন আমাদের কর্তব্য - কর্মে অবহেলা দেখাই, কোন দায়িত্বকে নিষ্ঠার সঙ্গে গ্রহন করিনা, তখনই অকৃতকার্যতা আসে।

✪  আমি চাইতাম বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতো সফল হতে; এর জন্য আমি অনেক পরিশ্রমও করেছি কিন্তু আমি কোনভাবেই সফল হইনি,অবশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম- অন্যের মতো নয়- বরং আমি হবো আমার মতো।

✪  একটি সুন্দর মুখের কুৎসিত কথার চেয়ে, একটি কুৎসিত মুখের মধুর কথা অধিকতর শ্রেয়।

✪  কি কাজ করতে চলেছেন সে সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকার অর্থ,আপনি অন্ধকারের যাত্রী কোন অন্ধের মত।

✪  জগতে যা সবচেয়ে খারাপ হতে পারে তা মেনে নাও। তুমি যদি সবচেয়ে বড় হতাশাগ্রস্ত হও তাহলে মেনে নাও মৃত্যু তোমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হতে পারে। এখন তুমি তোমার কাজে মনযোগী হও। মনে রেখ শরীরের জন্য জীবন নয় বরং জীবনের জন্য শরীর। তুমি তো কবেই মারা গেছ। তাহলে এখন থেকে যা করবে তা তোমার জন্য বোনাস। তুমি হয়তোবা 'চালস ডিকেন্স' বা শেক্সপিয়ার হতে পারবে না।কিন্তু তুমি তোমার সময়কালের সেরা একজন হতে পার।তুমি ও রচনা করতে পার তোমার সময়কাল নিয়ে আধশতাব্দী।

✪  জীবনে পাওয়ার হিসাব করুন, না পাওয়ার দুঃখ থাকবেনা।

✪  দক্ষতা অর্জনের পথ হল- ১) অপরের অভিজ্ঞতা মনে রাখুন ২) নিজের উদ্দেশ্য সামনে রাখুন ৩) সাফল্যের জন্য মন কে তৈরি করুন ৪) যতটা সম্ভব অভ্যেস করুন।

✪  দাম্পত্য জীবনে সুখি হতে চাও?তাহলে-পরস্পরকে অবিশ্বাস করবেনা আর ঘ্যানর ঘ্যানর করবে না।

✪  দুশ্চিন্তা দূর করার এক নম্বর উপায় হল- ব্যস্ত থাকুন।

✪  নিজের কাজকে ভালোবাসুন। আমাদের কাজের পিছনে যখন অনুভুতি কাজ করে আমরা তখনই সবচেয়ে সেরা হয়ে উঠি।

✪  পৃথিবীতে ভালবাসার একটি মাত্র ঊপায় আছে,  সেটা হল প্রতিদান পাওয়ার আশা না করে শুধু ভালবেসে যাওয়া।

✪  ভদ্র আচরন করতে শিক্ষা লাগে, অভদ্র আচরন করতে অজ্ঞতাই যথেষ্ট।

✪  মনে রাখবেন অন্যায় সমালোচনা অনেক ক্ষেত্রেই আড়াল করা প্রশংসাই: মনে রাখবেন মরা কুকুরকে কেউ লাথি মারেনা।

✪  মনে রাখবেন আজকের দিনটি গতকাল আপনার কাছে আগামীকাল ছিল। যেটার কথা ভেবে গতকাল আপনি চিন্তিত ছিলেন আজ নয়।

✪  মনে রাখা প্রয়োজন যে, একজন হতাশা গ্রস্থ মানুষের চেয়ে একজন সুখী মানুষ হাজার গুন বেশী কর্মক্ষম।

✪  মানুষ যখন রাগান্বিত অবস্থায়,তখন তাকে কোনভাবে বিরক্ত করা উচিত নয় । কেননা তা থেকে চরম ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে।

✪  মানুষের গুণ নিয়ে প্রতিযোগিতা করুন দোষ নিয়ে নয়।

✪  যা আপনাকে পীড়া দেয়, এমন বিষয় নিয়ে এক মিনিটের বেশি ভাববেন না।

✪  যিনি নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন তিনিই সফলতা লাভ করেছেন।

✪  যে অবস্হায়ই পড়ুন না কেন- অবস্থার ভালো মন্দ না দেখে বিচার করা উচিত নয়।

✪  যে স্ত্রীরা স্বামীকে সুখী করতে পারেন, তারা নিজেরাও তারি সঙ্গে সুখী হন। তারা অতি সহজেই বলতে পারেন যে স্বামীর সহযোগিতায় আমাদের জীবন কানায় কানায় পূর্ণ।

✪  শুধু আজকের জন্য আমি সুখী হব।- আব্রাহাম লিঙ্কন এতে বোঝা যায় আব্রাহাম লিঙ্কন যা বলেছেন তাই ই ঠিক যে, অধিকাংশ মানুষ ই যতখানি সুখী হতে চায় তাদের মন যা চায় ততটাই তারা হয়। সুখ বাইরের বস্তু নয়- এটা হল অন্তরের।

✪  সব সময়-ই অপর ব্যাক্তিকে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব উপলব্ধি করার সুযোগ দিন

✪  সাফল্য হল আপনি যা চান তা হাসিল করা। আনন্দ হল আপনি যা চান তা পাওয়া।

✪ অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন।

✪ নিজের ইচ্ছাকে রোজ কাজে লাগান। যতবার পারেন চেষ্টা করুন। কঠিন কোন কাজের চেষ্টা করুন। যে কাজ করতে আপনার আদৌ কোন ইচ্ছে নেই। 'সুখকে' একবার ফিরিয়ে দিন। সুখকে অন্তত একবারের মত ত্যাগ করুন। এটাই হলো ইচ্ছা সমন্বিত কাজের পথ, নিয়মিত কাজের পথ, সৎ উদ্দেশ্যে প্রনোদিত কাজের পথ।

✪ মন্দ সহচর্যের চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক ভালো।

✪ সবসময় হাসতে হবে। হাসির মাধ্যমে আমরা জীবনের অনেক সমস্যাকেই দূর আকাশে পাঠাতে পারি।

Saturday, November 21, 2015

মানুষের রক্তের গ্রুপ ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এর পদ্ধতি

মানুষের রক্তের গ্রুপ ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এর পদ্ধতি
                                                                     -
                  অষ্টাদশ শতাব্দীর  প্রথম থেকেই ফ্রান্সে এবং পরে ইংল্যান্ডে মানুষ থেকে মানুষে রক্তদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় অনেক ক্ষেত্রে দাতা (donor) ও গ্রহীতার (recepient) রক্তের মধ্যে কোনরুপ বিরুপ প্রতিক্রিয়া না হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে মারাত্মক বিরুপ প্রতিক্রিয়ার
ফলে গ্রহীতা অল্প সময়ের মধ্যেই মৃত্যুমুখে পতিত হত। মানব দেহের বাইরে দাতা ও গ্রহীতার রক্ত মিশ্রিত
করে দেখা গেছে যে কোন কোন ক্ষেত্রে উভয়ের রক্ত সম্পূর্ণভাবে না মিশে কণিকাগুলো পরস্পর জড়িয়ে যায়। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের রক্ত সম্পূর্ণ ভাবে মিশে যায়। ড. কার্ল
ল্যান্ডস্টেইনারের (Dr. Karl Landsteiner)
(১৯০১) গবেষনার পূর্ব পর্যন্ত এর কোন সঠিক কারণ না ছিল না।

ABO রক্ত গ্রুপঃ
ড. কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের গবেষনায় প্রমাণিত হয় যে, মানুষের রক্তের লোহিত কণিকায় (লোহিত রক্ত কনিকার প্লাজমামেমব্রেনের বাহিরের দিকে বা RBC এর গায়ে লেগে থাকে)  A ও B  নামক দুই ধরনের এন্টিজেন বা এগলুটিনোজেন (Antigen or agglutinogen) পাওয়া যায় এবং রক্তের
তরল অংশ প্লাজমা বা  সেরামে  a
(এন্টি A ) ও b(Gw›U B ) নামক দুই প্রকার এন্টিবডি বা এগলুটিনিন (Antibody  বা Agglutinin) পাওয়া যায়।  মজার ব্যাপার হলো একই ধরনের Antigen এবং Antibody ( যেমন Antigen A ও Antibody a) পরস্পরকে
আকর্ষন করে এবং জমাটবদ্ধ হয়। তাইতো মানুষের শরীরে একই প্রকৃতির   Antigen /Antibody উপস্থিত নেই। এক ধরনের এন্টিজেন থাকলে সেটা ব্যতীত
অন্যান্য এন্টিবডি গুলো থাকে। আর এতে করে রক্ত জমাটবদ্ধ হয় না। রক্ত সারা দেহে সঞ্চালিত হতে পারে। প্রতিটি এন্টিবডি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এন্টিজেনের সাথে বিক্রিয়া ঘটাতে সক্ষম। অর্থাৎ এন্টিবডি a  শুধুমাত্র এন্টিজেন B  সাথে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ঘটাতে সক্ষম। রক্তে এই এন্টিজেন ও এন্টিবডির উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে মানুষের রক্তকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এই ধরনের রক্ত গ্রুপকে ABO রক্তগ্রুপ বলে।
১৯০০ ও ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে এন্টিজেন AGes B এর ভিত্তিতে ল্যান্ডস্টেইনার A, B এবং O এই তিন ধরনের রক্তগ্রুপ সনাক্ত করেছিলেন। ল্যান্ডস্টেইনার এর ছাত্র ভ্যান ডেকাসটেলো এবং স্টার্লি ১৯০২ সালে ৪র্থ ধরনের i³MÖ“ÖcAB  আবিষ্কার করেছিলেন। এ কারনে ল্যান্ডস্টেইনার   ১৯৩০ সালে নোবেল পুরষ্কার পান।
রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের জন্য রয়েছে নানান পদ্ধতি। তবে ল্যান্ডস্টেইনার আবিষ্কৃত গ্রুপ নির্ণয়ের ABO পদ্ধতিটি শতকরা  ৯৯.৫ ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
      লাল রক্ত কণিকায় এন্টিজেন A„ থাকলে রক্তকে  A গ্রুপ , এন্টিজেন B
থাকলে রক্তকে B গ্রুপ, এন্টিজেন A ও
B  থাকলে রক্তকে AB গ্রুপ এবং উভয়
এন্টিজেনই অনুপস্থিত থাকলে রক্তকে O
গ্রুপ বলা হয়।

রক্তের গ্রুপঃ
A+, A-, B+ ,B-, AB+, AB-, O+, O-

রেসাস রক্ত গ্রুপঃ
কোন কোন মানুষের রক্ত কণিকায় রেসাস বানরের অনুরুপ  এন্টিজেন বা রেসাস এন্টিজেন বর্তমান। Rh এন্টিজেন এর উপর ভিত্তি করে মানুষের রক্তকেও দুভাগে ভাগ করা যায়, যথা- Rh + বা রেসাস পজিটিভ এবং  Rh - বা রেসাস নেগেটিভ।
আমরা সহজে বলতে পারি  এভাবে- প্রতিটি গ্রুপ আবার পজিটিভ / নেগেটিভ এই দুইভাগে বিভক্ত। পজিটিভ/ নেগেটিভ নির্ধারক এই   Rh factor টি প্রথম    Rhesus প্রজাতির বানরে পাওয়া যায় বলে এর নামকরণ হয় Rh । যাই হোক  Rh factor এর উপস্থিতি পজিটিভ এবং অনুপস্থিতি নেগেটিভ বুঝায়। এক গ্রুপের রক্ত অন্য গ্রুপধারী রোগীর শরীরে প্রবেশ করালে রোগীর জীবন সংকটাপন্ন হতে পারে।
   রক্তের এই ব্যতিক্রমী আচরণের উপর
ভিত্তি করে আবিষ্কৃত হয়েছে . Blood
Grouping Reagent|  এগুলো তৈরী করা হয় মানুষের শরীরের প্লাজমাতে উপস্থিত
এন্টিবডি হতে।

এন্টিজেন Aঃ
Anti-Aঃ
এটি সাধারণত নীল রঙের হয়। স্লাইডে গ্রুপ জানতে আগ্রহী ব্যক্তির রক্ত নেয়া থাকে যেখানে এন্টিজেন রয়েছে। যেহেতু Anti-A„ উপস্থিতি নির্ণয় করে Blood Group `A` র। তাই নীল রঙের এই Anti-A সংগ্রহ করা হয় Blood Group `B` ধারী কোন ব্যক্তির প্লাজমা হতে যেখানে Antibody a আছে। যদি ঐ ব্যক্তির রক্তে এন্টিজেন A থাকে তাহলে তা নীল রঙের তরল বা Antibody a র সাথে যুক্ত হয়ে জমাট বদ্ধ হবে। Antigen A   না থাকলে জমাটবদ্ধতা দেখা যাবে না।

Anti-B ঃ
এটি সাধারণত হলুদ রঙের হয়।
স্লাইডে গ্রুপ জানতে আগ্রহী ব্যক্তির রক্ত নেয়া থাকে যেখানে এন্টিজেন রয়েছে। যেহেতু Anti-B উপস্থিতি নির্ণয় করে Blood Group `B` র। তাই নীল রঙের
এই Anti-B সংগ্রহ করা হয় Blood Group `A` ধারী কোন ব্যক্তির প্লাজমা হতে যেখানে Antibody b আছে। যদি ঐ
ব্যক্তির রক্তে এন্টিজেন Antigen B থাকে তাহলে তা নীল রঙের তরল বা Antibody  b র সাথে যুক্ত হয়ে জমাট বদ্ধ
হবে। Antigen A থাকলে জমাটবদ্ধতা
দেখা যাবে না।

Anti-Dঃ
   বর্ণহীন এ তরলটি আধুনিক প্রযুক্তির
মাধ্যমে প্রস্তুত করা। রক্তে অনেক Rh
রয়েছে। তার মধ্যে Anti-D ই মুখ্য। রক্তে
Rh  উপস্থিতি আছে কিনা তা নির্ণয়
করাই Anti-D এর কাজ। Anti-D উপস্থিত
থাকলে জমাটবদ্ধতা দেখা যাবে। আর
না থাকলে দেখা যাবে না।

রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ঃ
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিঃ
1. কাচের স্লাইড
2. কটন বা তুলা
3. সিপরিট
4. ল্যান্সেট ( Optional)
5. সাদা কাপড় বা সাদা কাগজ
6. গ্লাস মার্কাস ( Optional)
7. নরমাল স্যালাইন ( Optional)
8. মাইক্রোস্কোপ ( Optional) ও
9. নিডিল
10. ঝুড়ি ( ব্যবহৃত নিডিল, কটন সহ অপ্রয়োজনীয় ময়লা রাখার জন্য) প্রয়োজনীয় সংখ্যক।
11. পানি সহ গামলা বা পাত্র ( ব্লাড গ্রুপিং এর ব্যবহৃত স্লাইড রাখার জন্য) প্রয়োজনীয় সংখ্যক।
12. স্যাভলন
13. গ্লাভস
14. লাল ও কালো কালির কলম

রাসায়নিক দ্রব্যাদিঃ সেরাম Anti-A,
সেরাম Anti-B, সেরাম Anti-D

পদ্ধতিঃ
রক্ত গ্রুপ র্নিণয় টেবিলঃ রক্তগ্রুপ নির্ণয় টেবিল এর উপরে সাদা কাপড় বা সাদা কাগজ দিতে হবে যেন গ্রুপিং নির্ণয়ে সুবিধা হয়। প্রয়োজনীয় উপকরন সঠিক ভাবে সাজিয়ে নিতে হবে। কয়জন পিকার এবং কয়জন টেকনিশিয়ান তা অনুসারে টেবিল সাজাতে হবে।

স্লাাইডে রক্ত গ্রহনঃ রক্ত গ্রুপ জানতে আগ্রহীর কাছ থেকে গ্রুপ নির্ণয়ের জন্য যিনি রক্ত সংগ্রহ করেন তাকে আমরা পিকার বলি। পিকার সর্বপ্রথম নিজ দুই হাত সম্পূর্ণ ভাবে স্পিরিট দ্বারা জীবানু মুক্ত করে নিবে এবং প্রয়োজনে হ্যান্ডগ্লাভস ব্যবহার করবে। পিকার পরিস্কার জীবানু মুক্ত একটি স্লাইড নিবেন। প্রথমে রক্তগ্রুপ নির্ধারণযোগ্য ব্যক্তির হাতের আঙুলের ডগা (তুলাতে স্পিরিট লাগিয়ে) স্পিরিট দ্বারা জীবানুমুক্ত করতে হবে। যে আঙুল থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হবে সেটি খুব সুন্দর ভাবে ধরতে হবে। তার পর নতুন জীবানুমুক্ত একটি নিডিল দিয়ে আঙুলের ডগায় পিক করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে পিক করা যেন খুব সাবধানে হয় । খুব জোরে  বা ব্যাথা লাগতে পারে  এমন ভাবে পিক
করা যাবে না । কথা বলে তাকে ব্যস্ত
রাখতে হবে যেন ব্যাথা খুব বেশী অনুভব করতে না পারে।
            এরপর স্লাইডটিকে সমান তিনটি
অংশে কল্পনা করে প্রতিটি ভাগের মধ্য বরাবর প্রয়োজন মতো তিন ফোটা রক্ত নিতে হবে।  খেয়াল রাখতে হবে কোন ভাবেই যেন আঙুল স্লাইডে স্পর্শ না করে। খেয়াল রাখতে হবে যেন খুব বেশী পরিমান রক্ত প্রতি ফোটায় না পড়ে। এ ব্যাপারে টেকনিশিয়ান এর পরামর্শ নিতে হবে।
            রক্ত স্লাইডে সংগ্রহের পরে উক্ত ব্যক্তির টোকেন সহ স্লাইডটি টেকনিশিয়ান এর দিকে সাবধানে এগিয়ে দিতে হবে।

গ্রুপিংঃ
যিনি রক্তের ফোটার  সঙ্গে রি- এজেন্ট মিশ্রিত করে রেজাল্ট প্রদান করেন তিনি টেকনিশিয়ান।
            স্লাইডের তিন ফোটা রক্তের
সর্ববামে প্রথম ফোঁটা রক্তের সাথে Anti-A (নীল রঙের), মাঝের ফোঁটার সাথে Anti-B ( হলুদ রঙের) এবং সর্বডানে তৃতীয় ফোঁটা রক্তের সাথে Anti-D(বর্নহীন) যোগ করি । রি-এজেন্ট এর ফোঁটাগুলো খুব সাবধানে নিতে হবে যেন রি-এজেন্ট এর ড্রপার রক্তের ফোঁটার সাথে কোন ভাবেই না লাগে, যদি লেগে যায় তাহলে এটি বোতলে রি-এজেন্টকে নষ্ট  করে দিবে। এরপর রি-এজেন্ট এর সহিত রক্ত মিশানোর জন্য পূর্বে ব্যবহৃত নিডিল খাপ সহ সাবধানে ব্যবহার করতে পারি। ব্যবহারের সময় নিডিল এর তিন অংশ দিয়ে তিন ফোঁটা রক্তের সাথে রি-এজেন্ট মিশ্রিত করতে হবে।  এর পর স্লাইডটিকে
সাবধানে  ধীরে ধীরে  নাড়তে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে নাড়ানোর ফলে যেন কোন ফোঁটা অন্য ফোঁটার সাথে না মিশে।
             কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে রক্তের
সাথে সেরামের বা রি-এজেন্ট এর বিক্রিয়ায় অ্যাগ্লুটিনেসন (agglutination, জট পাকানো ) হয়েছে কিনা এবং তা দেখে এর ফলাফল র্নিণয় করতে হবে।
                       = অ্যাগ্লুটিনেসন হয়েছে
( জট পাকানো ); =অ্যাগ্লুটিনেসন হয়নি( জট পাকায় নাই )।

সতর্কতাঃ
1. পিকারকে সতর্ক থাকতে হবে পিক
করতে গিয়ে নিজের হাতে নিডিল এর
আঘাত না লাগে।
2. টেকনিশিয়ান অবশ্যই মনোযোগী হবে
কারন তার অমনোযোগীতায় ভূল ফলাফল আসতে পারে।
3. চীপকে মান্য করতে বাধ্য থাকবে।
4. যে কোন প্রয়োজনে শুধু মাত্র চীপের
সাথে কথা বলবে।
5. পাশাপাশি গল্প বা মোবাইলে কথা
বলা নিষিদ্ধ।

ক্লোজিং টেকনিশিয়াল টেবিলঃ
1. গ্রুপিং শেষে টেবিলের প্রয়োজনীয়
উপকরন প্যাকিং ও গুছিয়ে রাখা, দ্রুত
রি-এজেন্ট ফ্রিজে রাখার ব্যবস্থা করা।
2. চীপের সাথে টেকনিশিয়ান টেবিলের ইভিউলিশন করা ও প্রয়োজনীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করা।
3. শিক্ষানবীশ থাকলে তার কাজের
মূল্যায়ন নিয়ে কথা বলা।
4. পাত্রে রাখা স্লাইড গুলো জীবানুমুক্ত ও পরিস্কারের ব্যবস্থা করা , অন্যের জন্য ফেলে না রেখে নিজেই করা।
5. ইভিউলিশনে প্রোগ্রামের ভাল দিকগুলো ও প্রয়োজনীয় কথা গুলো উপস্থাপন করা।

স্লাইড পরিষ্কারঃ
স্লাইড গুলো পূনরায় ব্যবহারের জন্য উত্তম রুপে পরিস্কারের প্রয়োজন। এ জন্য  প্রথমে কয়েকবার পানি পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্ত ধুয়ে ফেলতে হবে। এর  পর গরম পানি সহ স্পিরিট বা স্যাভলনে তিন দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে যেন জীবানু মুক্ত হয়। তারপর পানি পরিবর্তন করে  স্পিরিট সহ তুলা দ্বারা স্লাইড উভয় দিক ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। পানি থেকে তুলে শুকাতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন স্লাইডে পানির দাগ না থাকে।

সর্তকতাঃ
1. অবশ্যই সাবধানে করতে হবে যেন হাত থেকে পড়ে স্লাইড ভেঙে না যায়।
2. হাতে গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
3. হাত স্লাইডের আচড়ে যেন কেটে না যায়।

নিডিল পুড়িয়ে ফেলাঃ
ব্যবহৃত নিডিল ও টেকনিশিয়ান টেবিলের ময়লা একটি গর্ত  করে  আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং মাটি চাপা দিতে হবে। সতর্কতার সাথে করতে হবে যেন ব্যবহৃত নিডিল একটিও বাইরে না থাকে।

পরামর্শঃ
টেকনিশীয়ান ও পিকাদের জন্য অবশ্যই
নিম্নোক্ত ভ্যাকসিন নেয়া অতীব জরুরী
হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-বি, প্রভৃতি